বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন

কুশিয়ারার পানি বণ্টনে সমঝোতা বৈঠক ভারত-বাংলাদেশের

কুশিয়ারার পানি বণ্টনে সমঝোতা বৈঠক ভারত-বাংলাদেশের

স্বদেশ ডেস্ক:

কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে ভারত-বাংলাদেশের সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ জুন) ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এ সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সাতটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি। ওই চুক্তির অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কুশিয়ারা থেকে প্রতি সেকেন্ডে ১৫৩ কিউসেক জল উত্তোলন করবে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনের সীমান্তে বন্ধ থাকা জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদী ও রহিমপুর খালের সংযোগস্থল পুনঃখননসহ পাঁচটি কাজ চালুর অনুমোদন দিয়েছে বিএসএফ।

পানি সম্পদ বিভাগের বরাক এবং উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বাস্তকার সমীরণ ডেকার পৌরোহিত্যে করিমগঞ্জের জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন পানি উন্নয়ন বিভাগের মুখ্য বাস্তকার খুশিমোহন সরকার, সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর কুমার গোস্বামী, ১৯ নম্বর বিজিবি অতিরিক্ত নির্দেশক নজরুল ইসলাম, সাহিদুর রহমান, আজিজ আহমেদ, কাজি সামিম।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন পানি সম্পদ বিভাগের সহকারী মুখ্য বাস্তুকার সমীরণ ডেকা, বিএসএফ-এর শিলচর সেক্টর ডিআইজি চি পি মিনা, ডিডিসি দীপক জিডুং, রাজীব সিং, নিখিল মহাজন, সুব্রত নাথ, জিলাস উদ্দিন লস্কর।

করিমগঞ্জের কুশিয়ারা নদী এলাকা পরিদর্শন শেষে সভায় খনন, নদীর দুই তীরের ভাঙন প্রতিরোধ, পানির পরিমাণ সংগ্রহ এবং যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী মাসে প্রতিনিধি দল করিমগঞ্জের ভাঙা এলাকা পরিদর্শন করবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ২০১০ সালে চূড়ান্ত প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আপত্তির কারণে ওই চুক্তি সফল হয়নি। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তির পর এই প্রথম বাংলাদেশের সাথে কোনো অভিন্ন নদীর পানিচুক্তি সম্পাদন হয়। আর ওই চুক্তি মতে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877